কেদারনাথ ধাম থেকে ২২৮ কেজি সোনা গায়েব, অভিযোগ খোদ শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দের

কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা হারিয়ে গিয়েছে। এটা বড় দুর্নীতি। এমনই অভিযোগ করেছেন খোদ জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি অভিযোগ করেছেন, এতে এখনও কোন তদন্ত হয়নি। মিডিয়া কেন এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা করছে না, সেই প্রশ্নও তুলেন তিনি। দিল্লিতে কেদারনাথ ধামের মতো মন্দির তৈরির বিষয়ে অভিমুক্তেশ্বরানন্দের মতামত জিজ্ঞাসা করা হয়। এর তীক্ষ্ণ উত্তর দিয়ে শঙ্করাচার্য বলেন, বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি সংজ্ঞা ও নিয়ম রয়েছে। তাই কোথাও কেদারনাথ ধাম তৈরি করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের ধর্মীয় স্থানে রাজনীতিবিদরা প্রবেশ করছে। এটা একবারে ভুল। এই সময় শঙ্করাচার্য অনন্ত আম্বানির বিয়েতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করার কথাও বলেছিলেন। তিনি বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাকে শুভেচ্ছা জানালেন, আমি তাঁকে আশীর্বাদ করলাম। আমরা তাদের শত্রু নই, তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। হ্যাঁ, তারা যখন অন্যায় করে তখন আমরাও বলি এখানে আপনি ভুল করেছেন। শঙ্করাচার্য বলেন, শাস্ত্রে লেখা আছে সোমনাথ সৌরাষ্ট্র অর্থাৎ গুজরাটেই হবে। কেদারনাথ হবে শুধু হিমালয়ে। এর কোনো প্রতিরূপ হতে পারে না। আমরা যদি দিল্লিতে বানাতে চাই তাহলে এটা ভুল। কেদারনাথ একটি মাত্র এবং যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। শাস্ত্র থেকে ভিন্ন কিছু থাকলে আমরা তাকে ভুল বলব। শঙ্করাচার্য বলেন, ‘কেদারনাথে সোনা কেলেঙ্কারি হয়েছে। কেন এই ইস্যু উত্থাপিত হয় না? সেখানে কেলেঙ্কারির পর এখন দিল্লিতে তৈরি হচ্ছে কেদারনাথ? এখন আরেকটি কেলেঙ্কারি ঘটবে। আসলে, গত বছর কেদারনাথ ধামের একজন পুরোহিত অভিযোগ করেছিলেন, ১২৫ কোটি টাকার সোনা কেলেঙ্কারি হয়েছে। এই সোনা মন্দিরে ব্যবহার করার কথা ছিল, কিন্তু তার পরিবর্তে পিতল ব্যবহার করা হয়েছিল। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। শঙ্করাচার্য আবারও একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, “কেদারনাথে সোনা কেলেঙ্কারি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উঠছে না কেন? সেখানে কেলেঙ্কারি করার পর এখন দিল্লিতে কেদারনাথ তৈরি হবে? তারপর আরেকটি কেলেঙ্কারি হবে। কেদারনাথ থেকে ২২৮ কেজি সোনা গায়েব হয়ে গেছে। কোন তদন্ত শুরু হয়নি। এর জন্য দায়ী কে? এখন বলছে তারা দিল্লিতে কেদারনাথ নির্মাণ করবে, এটা হতে পারে না।” উল্লেখ্য, গত বুধবার দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। কেদারনাথ ধামের পুরোহিতরা মন্দিরের সামনে প্রতিবাদ জানান। কেদারসভার ব্যানারে জড়ো হওয়া পুরোহিতরা বলেছেন, এটি করা অন্যায়।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও