মুচির দোকানে রাহুল গান্ধী, জিজ্ঞাসা সংসার চলে কিভাবে?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মানহানির মামলায় শুক্রবার সুলতানপুর আদালতে পৌঁছান লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে ফেরার সময় রাহুল হঠাৎ একটি মুচির দোকানে তাঁর কনভয় থামিয়ে দেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে জুতা তৈরির দোকান চালানো রামচেতের সঙ্গে রাহুলের বেশ কিছুক্ষণ কথোপকথন চলে। সেখানে চপ্পল সেলাইও করেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে জুতা বানান। রামচেতের সাথে প্রায় ৫ মিনিট কথা বলার পর সেখান থেকে চলে যায় রাহুল। রামচেত রাহুলকে বলেন, “আমি গরীব। আমাকে একটু সাহায্য করুন।”

সুলতানপুর সিভিল কোর্ট থেকে লখনউ যাওয়ার সময়, রাহুল গান্ধীর কনভয় গুপ্তরগঞ্জের এমএলএ নগরে মোচির দোকানে হঠাৎ থামে। লোকে কিছু বোঝার আগেই রাহুল দোকানে বসে রামছেটের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় রাহুল গান্ধী জুতা ও চপ্পলও সেলাই করেন। কর্মক্ষেত্রে যে সমস্যার সম্মুখীন হয় সে সম্পর্কেও জেনে নেন রাহুল। আমরা আপনার কণ্ঠস্বর হব বলে আশ্বস্তও করেন। রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করলেন, কীভাবে সংসার চলে? রামচেত বলেছেন, দোকান থেকে কখনও ১০০ টাকা আবার কখনও ৫০ টাকা পাওয়া যায়। উত্তর শুনে রাহুল জিজ্ঞেস করেন, এত কম আয়ে কীভাবে সংসার চালান? রামচেত রাহুলকে কাজের বিবরণ জানিয়ে বলেন, বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। আমি যদি কিছু আর্থিক সাহায্য পাই, আমি একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারি। এই কাজে আত্মসম্মান নেই। মানুষ তাকে অবজ্ঞা করে। এ কারণেই ছেলেকে এ কাজ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। সান্ত্বনা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, আমি সবার আওয়াজ তুলব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মানহানি মামলায় সুলতানপুর আদালতে নিজের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন রাহুল গান্ধী। বিচারককে বলেন, ‘আমি নির্দোষ।’ আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি সব অভিযোগ অস্বীকার করছি। আমার ও আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টাই আদালতে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। প্রায় ১৬ মিনিট আদালত কক্ষে ছিলেন রাহুল। এর পর লখনউ চলে যান। রাহুলের আইনজীবী কাশী শুক্লা বলেন, ‘সংসদ অধিবেশন চললেও রাহুল সুলতানপুর আদালতে আসেন। এখানে রাহুল তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ আগস্ট।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও