বাংলা সহ ৫টি ভাষা পেল ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা, মোদি সরকারের বড় সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমীয়া এবং বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেছেন, এটি আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত হওয়ার, আমাদের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং সমস্ত ভারতীয় ভাষা এবং আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের জন্য গর্বিত হওয়ার দর্শনের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ।

‘এক্স’-এ একের পর এক একাধিক পোস্ট করে এই ভাষাগুলিকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ায় খুশি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার আঞ্চলিক ভাষাকে জনপ্রিয় করার অঙ্গীকারে অটল রয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আনন্দ প্রকাশ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘এক্স’-এ একাধিক পোস্ট করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সমস্ত ভাষাগুলি সুন্দর এবং দেশের প্রাণবন্ত বৈচিত্র্যকে চিহ্নিত করেছে। এর জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সরকার ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে মূল্যায়ন করে এবং উদযাপন করে। আমরা আঞ্চলিক ভাষাকে জনপ্রিয় করার প্রতিশ্রুতিতেও অটুট রয়েছি।” 

বাংলাকে একটি মহান ভাষা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত খুশি যে মহান বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে আর তাও পবিত্র দুর্গা পূজার সময়েই। বাংলা সাহিত্য অসংখ্য মানুষকে বছরের পর বছর ধরে অনুপ্রাণিত করে আসছে। এই উপলক্ষে বিশ্ব জুড়ে সকল বাংলা ভাষাভাষী-কে অভিনন্দন জানাই।”

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে অবশেষে ভারত সরকার বাংলা/বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে।” তিনি বলেছেন, আমরা এই স্বীকৃতির জন্য ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং জিওআই এর সাথে ক্রমাগত কথা বলেছিলাম এবং আমরা আমাদের দাবির সমর্থনে গবেষণা ফলাফলের তিনটি খণ্ড উপস্থাপন করেছি। কেন্দ্রীয় সরকার আজ সন্ধ্যায় আমাদের সুগবেষিত দাবি মেনে নিয়েছে এবং আমরা অবশেষে ভারতে ভাষার মধ্যে সাংস্কৃতিক শীর্ষে পৌঁছেছি।”

এদিকে, পালি এবং প্রাকৃতকে ভারতের সংস্কৃতির মূল ভাষা হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এগুলি আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং দর্শনের ভাষাও। তিনি বলেছিলেন, “এই ভাষাগুলি তাদের সাহিত্যিক ঐতিহ্যের জন্যও পরিচিত। তাদেরকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তা ভারতীয় চিন্তা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের উপর তাদের নিরন্তর প্রভাবের জন্য একটি শ্রদ্ধা।” প্রসঙ্গত, ভারতের গভীর এবং প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের কাজটি ধ্রুপদী ভাষার মাধ্যমে করা হয়। এই ভাষাগুলি প্রতিটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের মাইলফলকের সারাংশ।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও