আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত আবারও হিন্দুদের নিয়ে বড়সড় বক্তব্য দিয়েছেন। ভাগবত হিন্দু সমাজকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের ওপর জোর দেন। মোহন ভাগবত বলেন, সমাজে শৃঙ্খলা, কর্তব্য ও লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে সংঘের তুলনা করতেও রাজি হননি তিনি। সংঘ প্রধান বলেছেন, ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র এবং এখানে সমস্ত সম্প্রদায়কে সম্মান করা হয়। মোহন ভাগবত বলেন, “ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র। আমরা প্রাচীনকাল থেকে এখানে বসবাস করে আসছি, যদিও হিন্দু নামটি পরে এসেছে। এখানে বসবাসকারী ভারতের সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য হিন্দু শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল। হিন্দুরা সবাইকে আপন মনে করে এবং সবাইকে মেনে নেয়। হিন্দু বলে আমরাও ঠিক আর তুমিও তোমার জায়গায় ঠিক। একে অপরের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগের মাধ্যমে সাদৃশ্যে বাস করুন।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত পাঁচ দিনের সফরে শনিবার রাজস্থানের বারান পৌঁছেছেন। তিনি হিন্দু সমাজকে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভাষা, বর্ণ ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য দূর করতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, নিরাপত্তার জন্য হিন্দু সমাজের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। তিনি সমাজে শৃঙ্খলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য ও লক্ষ্য থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘সমাজ শুধু আমি এবং আমার পরিবার নিয়ে গঠিত নয়, সমাজের জন্য সার্বিক উদ্বেগের মাধ্যমে আমাদের জীবনে ঈশ্বরকে অর্জন করতে হবে।’
সংঘ প্রধান বলেছেন, আরএসএসের কাজ ধারণার উপর ভিত্তি করে। তিনি বলেন, পৃথিবীতে সংঘের মতো সংগঠন নেই। তিনি বলেন, ‘সংঘের কাজের সঙ্গে তুলনা করতে পারে এমন কোনো সংস্থা পৃথিবীতে নেই। সংঘকে কারও সঙ্গে তুলনা করা যায় না। মূল্যবোধ সংঘ থেকে দলনেতার কাছে, দলনেতা থেকে স্বেচ্ছাসেবকের কাছে এবং স্বেচ্ছাসেবক থেকে পরিবারের কাছে চলে যায়। পরিবার দ্বারা সমাজ তৈরি হয়। ব্যক্তি বিকাশের এই পদ্ধতি সংঘে গৃহীত হয়। মোহন ভাগবত বলেছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বত্র মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করা উচিত। তিনি বলেন, সমাজে বিরাজমান কুফল দূর করতে হবে। তিনি সামাজিক সম্প্রীতি, ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ওপর জোর দেন।